ওজন বাড়ানোর উপায়-মোটা হওয়ার জন্য কি কি খাবার খেতে হবে?

ওজন বাড়ানোর উপায়-মোটা হওয়ার জন্য কি কি খাবার খেতে হবে?

ওজন বাড়ানোর উপায়

ওজন বাড়ানোর জন্য কিছু প্রাথমিক উপায় নিম্নে দেওয়া হলো। তবে মনে রাখবেন যে প্রতিটি ব্যক্তির শরীরের প্রকৃতির মধ্যে ভিন্নতা থাকে এবং ওজন বাড়ানোর উপায়গুলি ব্যক্তিগতভাবে ভিন্নভাবে কাজ করতে পারে।

  • পুরোপুরি ওজন বাড়ানোর জন্য প্রতিদিনের খাবারে অতিরিক্ত ক্যালোরি সংগ্রহ করুন। আপনার খাদ্যে আরও উচ্চ ক্যালোরি সম্পন্ন উপাদান যুক্ত করুন যেমনঃ তেল, ঘি, ডিম, নাটক, মাংস, পরিমাণমত মিষ্টি, ড্রাই ফ্রুটস ইত্যাদি।
  • আপনার খাদ্যে উচ্চ পরিমাণে প্রোটিন যুক্ত খাদ্য যুক্ত করুন। প্রোটিন খাদ্য মাঝেমধ্যে মাংস, মাছ, ডাল, পানির মতো উচ্চ পরিমাণে উপাদান ধারণ করে যা ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে মাদ্ধমিকভাবে কাজ করে।
  • প্রতিদিনের খাবারে মিশ্রিত মসলা, তেল বা ঘি দিয়ে রান্না করুন। এইভাবে খাদ্যে অতিরিক্ত ক্যালোরি যুক্ত করা যায় এবং আপনি এটি স্বাদিষ্টভাবে সেবন করতে পারেন।
  • স্বাস্থ্যকর ক্রিয়াকলাপ অনুসরণ করুন, যেমন ব্যায়াম ও ব্যালান্সড আহার নিয়ে আপনার শরীর সুস্থ এবং সুস্থমনে রাখতে সাহায্য করবে। উচ্চ প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট সেবন করতে পারেন যেন শরীর প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় প্রোটিন পূরণ করতে পারে।
  • খাবার খাওয়ার পর শরীরের প্রয়োজনীয় পরিমাণ পানি পান করুন। এটি ওজন বাড়ানোর জন্য উপযুক্ত হতে পারে এবং শরীরকে সুস্থ ও সঠিক ভাবে কাজ করতে সাহায্য করবে।

মোটা হওয়ার জন্য কি কি খাবার খেতে হবে?

মোটা হওয়ার জন্য কিছু পুষ্টিকর খাবারের উল্লেখযোগ্য তালিকা নিম্নলিখিত হতে পারে:

  • প্রোটিন: মাংস, মাছ, ডাল, পুল্স, প্রোটিন সেক্সংস এবং দুধ পণ্য এমনকি ইয়োগার্ট ও চিজ ইত্যাদি যা প্রোটিনের ভারপ্রায় উৎস হিসাবে পরামর্শ করা হয়।
  • ক্যালসিয়াম: দুধ, পনির, চীজ, ক্যালসিয়াম সেক্সংস এবং পরস্পরকারক খাবার যা ক্যালসিয়ামের ভারপ্রায় উৎস হিসাবে পরামর্শ করা হয়।
  • অলিভ অয়েল: অলিভ অয়েল বৃদ্ধিকারী তেল হিসাবে পরামর্শ করা হয় যা মুখ্যতঃ মনোনীত খাবারে ব্যবহার করা হয়।
  • সবজি ও ফল: মোটা হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে সবজি এবং ফল খাওয়া উচিত। এটা ক্যালোরি পরিমাণ বৃদ্ধি করবে এবং পুষ্টি সরবরাহ করবে।
  • সুস্থ কার্বোহাইড্রেট: সুস্থ কার্বোহাইড্রেট সোর্স যেমন পোটেটো, পাস্তা, চাল, রুটি ইত্যাদি মাংসের পাশাপাশি মোটা হওয়ায় সহায়তা করবে।

সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে সুস্থ পরিমাণে খাবার পরিবর্তন করতে হবে এবং নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।

ওজন বৃদ্ধির ব্যায়াম

ওজন বৃদ্ধির জন্য কিছু ব্যায়ামের উদাহরণ নিম্নে দেওয়া হলো:

  • ওজন ট্রেনিং: ওজন ট্রেনিং ব্যায়াম একটি ভালো উপায় ওজন বাড়ানোর। এই ধরণের ব্যায়ামে শরীরের মাংসপেশী বৃদ্ধি হয় এবং ওজন বাড়তে সহায়তা করে। উদাহরণস্বরূপ ডাম্বেল কার্ল, বারবেল স্কোয়াট, বেঞ্চ প্রেস ইত্যাদি।
  • শক্তিশালী ব্যায়াম: শক্তিশালী ব্যায়ামগুলি মাংসপেশীর বৃদ্ধি ও ওজন বাড়ানোর জন্য উপযুক্ত। উদাহরণস্বরূপ ডেডলিফ্ট, পুশআপ, লেজ প্রেস, বারবেল রো ইত্যাদি।
  • বডি ওয়েট ব্রহ্মন: বডি ওয়েট ব্রহ্মন একটি ব্যায়াম যা পেশীর বৃদ্ধি এবং ওজন বাড়ানোর জন্য উপযুক্ত। এই ব্যায়ামে আপনি শরীরের সামান্য ওজন ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যায়াম করতে পারেন যেমন পুশআপ, পুল-আপ, স্কোয়াট ইত্যাদি।
  • কার্ডিও ব্যায়াম: কার্ডিও ব্যায়াম ওজন বাড়ানোর জন্য সাহায্য করতে পারে কারণ এটি ক্যালোরি পুনরায় প্রয়োজন করে এবং শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করে। উদাহরণস্বরূপ জগিং, সাইকেলিং, রানিং, রো ইত্যাদি।

এই ব্যায়ামগুলির পাশাপাশি আপনি একটি স্বাস্থ্যকর ও উচ্চ ক্যালোরি সংগ্রহের জন্য সঠিক খাবার কার্যক্রম অনুসরণ করতে পারেন।

বাচ্চার ওজন বাড়ানোর উপায়

শিশুর ওজন বাড়ানো জন্য নিম্নলিখিত কিছু উপায় বিবেচনা করা যেতে পারে:

  • পুষ্টিকর আহার: শিশুর জন্য পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাদের আহারে উচ্চ প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান থাকা উচিত। শিশুদের দুধ, পশুর দুধ, মাংস, মাছ, ডাল, দুধ পণ্য, ফল ও সবজি সাধারণত উপযুক্ত পুষ্টিকর খাবার হিসাবে পরামর্শ করা হয়।
  • তাপমাত্রা দেখানো: শিশুর ওজন বাড়ানোর জন্য মাত্রার নিয়ন্ত্রণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাপমাত্রা সঠিক রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড সহ অন্যান্য মেডিকেল সমস্যার কারণ হতে পারে। প্রতিদিনের মাত্রা ও শিশুর উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বাচ্চার জন্য স্থানান্তরিত ওষুধ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হতে পারে।
  • বাচ্চার উপস্থিতি: প্রতিদিন শিশুর উপস্থিতিতে আশ্রয় দেওয়া উচিত। স্বাস্থ্যকর উচ্চ গায়ে দুধ দিয়ে শিশুর মাংসপেশী বৃদ্ধি করানো যেতে পারে। তাছাড়াও, শিশুদের বাড়ীর বাইরে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা উচিত যাতে তারা খেলাধুলায় একটিভ থাকতে পারে।
  • নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা: শিশুদের ওজন ও স্বাস্থ্যের নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিতভাবে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। নির্ধারিত সময়ে শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হলে কোনো সমস্যা অবস্থার সন্দেহ হলেও পূর্ববর্তী পরিসংখ্যানগুলি সম্পর্কে জানা যায়।

শিশুর ওজন বাড়ানোর প্রয়োজনীয় কোনো ঔষধ নির্দেশিত না হলেও সাধারণত পুষ্টিকর আহার, উচ্চ মাত্রার নিয়ন্ত্রণ, উপস্থিতি ও নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা সহ উপরে উল্লিখিত উপায়গুলি পালন করা উচিত।

ওজন বাড়ে না কেন

কিছু কারণের জন্য ওজন বাড়তে অসমর্থ হতে পারেন:

  • পরিবারিক ইতিহাস: আপনার ওজনের বাড়া-কমে একটি উপাদান হতে পারে আপনার পরিবারের জন্যে। এটি উপাদান হতে পারে উপস্থিত রক্তের ধারণ পদার্থ, বৈষাম্যবোধ, এবং উচ্চ মেটাবলিক রেট।
  • অস্বাস্থ্যকর আহার পদ্ধতি: অপ্রাণিজাত ও অপুষ্টিকর আহার পদ্ধতি ওজন বাড়ানোতে অসমর্থতা সৃষ্টি করতে পারে। যদি আপনি পুষ্টিকর খাবার পরিবর্তন না করে খান, তবে আপনার ওজন বাড়াতে সমস্যার হতে পারে।
  • মেডিক্যাল সমস্যা: কিছু মেডিক্যাল সমস্যা ওজন বাড়াতে ব্যাধির হতে পারে, যেমন থাইরয়েড সমস্যা, অন্যান্য হরমোনাল সমস্যা, ক্যান্সার, অস্থির সমস্যা, মেডিকেশনের পার্থক্য ইত্যাদি।
  • মানসিক জনিত সমস্যা: মানসিক জনিত সমস্যা ওজন বাড়ানোতে প্রভাবিত হতে পারে, যেমন ডিপ্রেশন, ক্ষুধামন্দা, স্ট্রেস ইত্যাদি। এই সমস্যাগুলি খাদ্যপ্রাণির প্রভাবিত করতে পারে এবং ওজন বাড়ানোর প্রতিরোধ করতে পারে।

এই সমস্যাগুলি নির্ধারণ করতে আপনি একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নেতে পারেন যাতে সঠিক উপচার পাওয়া যায়।

ওজন বৃদ্ধির ঔষধ

ওজন বৃদ্ধির জন্য ঔষধ সম্পর্কে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। অনেকে ওজন বৃদ্ধির জন্য চিকিৎসায় ঔষধ ব্যবহার করতে পারেন, কিন্তু এগুলি কেবলমাত্র মেডিকেল পরামর্শ এবং ডাক্তারের পরামর্শের মাধ্যমে ব্যবহার করা উচিত।

বিভিন্ন মেডিকেশন এবং পদার্থসমূহ ওজন বৃদ্ধি করতে পারে, কিন্তু এগুলি মেডিকেল নির্দেশিকা অনুসারে ব্যবহার করা উচিত।

> আরও পড়ুন:- চুল পড়া বন্ধ ও ঘন করার উপায়

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url